Posts

মল্লরাজের মল্লভূমে

Image
আপনি কি কখনও ভেবেছেন রাজারা বাঁধ কেন দিতেন! মলরাজারা বাঁধ দিতেন শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে। এই ভাবে আকবরের সময় মোঘলরা হেরে পর্যুদস্ত হয়েছে।ভাস্কর পণ্ডিতের মতন বর্গী ফিরে গেছেন ভয়ে। আছে দলমাদল কামান।এই বাঁধগুলির কয়েকটি লালবাঁধ,পোকাবাঁধ,যমুনা বাঁধ ইত্যাদি। পাবেন মল্লভূমে।আছে তেরাকোটা কাজে সমৃদ্ধ মন্দির,বালুচরী শাড়ি,ম্যাজিক লণ্ঠন। হাওঢা থেকে ২০০+ কিলোমিটার। ট্রেন পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা,আরণ্যক। ভাড়া ৪৯৫ এ সি চেয়ার কার।নন এসি - ৯০ বা তার পাশাপাশি।বিষ্ণুপুর স্টেশনে রয়েছে লিফট,এসকেলেটর। এছাড়াও অদূরে কামারপুকুর,জয়রামবাটী।

ঘরের কাছের হিংলাজ দর্শন

Image
মনে পড়ছে অবধূতের লেখা মরুতীর্থ হিংলাজের কথা।আর বাংলা সিনেমায় উত্তমকুমার, সাবিত্রী, বিকাশ রায়,পাহাড়ি সান্যাল প্রভৃতি অভিনীত মরুতীর্থ হিংলাজের কথা। দেবী হিংলাজকে দর্শন করতে আপনাকে যেতে হবে পাকিস্তান। লাগবে ভিসা।এছাড়াও  কিছু উদ্বেগ। কিন্তু ঘরের কাছে রয়েছে সেই প্রার্থিত দেবী।দেবী সর্বমঙ্গলার ঘোটকী মূর্তি,যা আপনি হিংলাজে পাবেন। দেবী মাহাত্ম্য নিয়ে অনেক কথা রয়েছে।পশ্চিম মেদিনীপুর গড়বেতায় এই মন্দির রয়েছে।হাওড়া থেকে বিকেল ৪/৪৫ মিনিটে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস। আপনাকে আটটা পনেরোতে পৌঁছে দেবে গড়বেতায়।ভাড়া এ সি চেয়ার কার ৪৯০/ আর নন এসি নব্বই টাকারও।স্টেশনে পাবেন সব রকমের গাড়ি।হোটেল আপনজন থেকে এখানে আপনি ধর্মশালাও পাবেন।অদূরে গনগনি, যা বেঙ্গল ক্যানিয়ান নামে খ্যাত।বকাসুরকে বধ করেছিলেন ভীম এখানেই।একটি বৃক্ষ আজও আছে,যার কোটরে অর্জুন তাঁর অস্ত্রসম্ভার রেখেছিলেন।আছেন দেবী ভদ্রকালী।সেখানে দাঁড়িয়ে আপনি নদী শিলাবতীর অন্য রূপ দেখতে পাবেন।বলা হয় শিলাবতীতে এক সময় সোনা পাওয়া যেত। একটু এগিয়ে গেলে ডাকাত রাজার হাম্বীর মল্লভূম বিষ্ণুপুর।আসুন তবে! দেরী কেন! হোটেল ডবল বেড রুম ১০০০ থেকে ১২০০ কলকাতা থেকে ১৪০ কিমি গাড়িতে।